প্রিয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক এই সেশনটি একটি ছোট প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু করতে পারেন। তিনি তোমাকেও প্রার্থনায় নেতৃত্ব দিতে বলতে পারেন। তুমি আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারো। সামনের কোনো সেশনে তোমাদের কিন্তু একটি দেয়ালিকা তৈরি করতে হবে। ঈশ্বরের প্রতি তোমাদের বিশ্বাস তোমরা কীভাবে প্রকাশ করো তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখন যোহন ১ : ১-১৮; যোহন ১১ : ২৫-২৬; যোহন ২০ : ৩০-৩১; পদের আলোকে ঈশ্বরে বিশ্বাস ও তাঁর ইচ্ছা পালন বিষয়ে পবিত্র বাইবেলে কী রয়েছে তা তোমরা জানবে। তোমরা প্রত্যেকে ১টি বা ২টি করে পদ পাঠ করার সুযোগ পেতে পারো। তুমি চাইলে আগে থেকে এ পদগুলো বাড়িতে পাঠের অনুশীলন করতে পারো যাতে শ্রেণিকক্ষে নির্ভুলভাবে পাঠ করতে পারো।
ঈশ্বরের বাক্য মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করলেন
প্রথমেই বাক্য ছিলেন, বাক্য ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন এবং বাক্য নিজেই ঈশ্বর ছিলেন। আর প্রথমেই তিনি ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন। সব কিছুই সেই বাক্যের দ্বারা সৃষ্ট হয়েছিল, আর যা কিছু সৃষ্ট হয়েছিল সেগুলোর মধ্যে কোনো কিছুই তাঁকে ছাড়া সৃষ্ট হয়নি। তাঁর মধ্যে জীবন ছিল এবং সেই জীবনই ছিল মানুষের আলো। সেই আলো অন্ধকারের মধ্যে জ্বলছে কিন্তু অন্ধকার আলোকে জয় করতে পারেনি।
ঈশ্বর যোহন নামে একজন লোককে পাঠিয়েছিলেন। তিনি আলোর বিষয়ে সাক্ষী হিসাবে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন যেন সকলে তাঁর সাক্ষ্য শুনে বিশ্বাস করতে পারে। যোহন নিজে সেই আলো ছিলেন না কিন্তু সেই আলোর বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন।
সেই আসল আলো, যিনি প্রত্যেক মানুষকে আলো দান করেন, তিনি জগতে আসছিলেন। তিনি জগতেই ছিলেন এবং জগৎ তাঁর দ্বারাই সৃষ্ট হয়েছিল, তবু জগতের মানুষ তাঁকে চিনল না। তিনি নিজের দেশে আসলেন, কিন্তু তাঁর নিজের লোকেরাই তাঁকে গ্রহণ করল না। তবে যতজন তাঁর উপর বিশ্বাস করে তাঁকে গ্রহণ করল তাদের প্রত্যেককে তিনি ঈশ্বরের সন্তান হবার অধিকার দিলেন। এই লোকদের জন্ম রক্ত থেকে হয়নি, শারীরিক কামনা বা পুরুষের বাসনা থেকেও হয়নি, কিন্তু ঈশ্বর থেকেই হয়েছে।
সেই বাক্যই মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করলেন এবং আমাদের মধ্যে বাস করলেন। পিতা ঈশ্বরের একমাত্র পুত্র হিসেবে তাঁর যে মহিমা সেই মহিমা আমরা দেখেছি। তিনি দয়া ও সত্যে পূর্ণ।
যোহন তাঁর বিষয়ে জোর গলায় সাক্ষ্য দিয়ে বললেন, “উনিই সেই লোক যাঁর বিষয়ে আমি বলেছিলাম, যিনি আমার পরে আসছেন তিনি আমার চেয়ে মহান, কারণ তিনি আমার অনেক আগে থেকেই আছেন।”
আমরা সকলে তাঁর সেই পূর্ণতা থেকে দয়ার উপরে আরও দয়া পেয়েছি। মোশির মধ্য দিয়ে আইন-কানুন দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু যীশু খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে দয়া ও সত্য এসেছে। ঈশ্বরকে কেউ কখনো দেখেনি। তাঁর সঙ্গে থাকা সেই একমাত্র পুত্র, যিনি নিজেই ঈশ্বর, তিনিই তাঁকে প্রকাশ করেছেন। যোহন ১ : ১-১৮
যীশু মার্থাকে বললেন, “আমিই পুনরুত্থান ও জীবন। যে আমার উপর বিশ্বাস করে সে মরলেও জীবিত হবে। আর যে জীবিত আছে এবং আমার উপর বিশ্বাস করে সে কখনো মরবে না। তুমি কি এই কথা বিশ্বাস কর?” যোহন ১১ : ২৫-২৬
যীশু শিষ্যদের সামনে চিহ্ন হিসেবে আরও অনেক আশ্চর্য কাজ করেছিলেন; সেগুলো এই বইয়ে লেখা হয়নি। কিন্তু এইসব লেখা হলো যাতে তোমরা বিশ্বাস কর যে, যীশুই মশীহ, ঈশ্বরের পুত্র, আর বিশ্বাস করে যেন তাঁর মধ্য দিয়ে জীবন পাও । যোহন ২০: ৩০-৩১
তোমাকে একটু সহজ করে বলি
ঈশ্বর জগৎ সৃষ্টি করেছেন বাক্য দিয়ে অর্থাৎ তাঁর মুখের কথা দিয়েই তিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। ঈশ্বর অন্ধকার পৃথিবীতে আলো সৃষ্টি করেছেন এবং সৃষ্ট সকল প্রাণী ও উদ্ভিদকে প্রাণ দিয়েছেন। বাপ্তিস্মদাতা যোহন প্রভুর পথ প্রস্তুত করেছিলেন। তিনি যীশুর বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন।
পুত্র ঈশ্বর পিতা ঈশ্বরের কাছেই ছিলেন। কোনো কিছুই প্রভু যীশুখ্ৰীষ্টকে ছাড়া সৃষ্টি হয়নি। তিনি নিজেই ঈশ্বর। তিনি মানুষের রূপ নিয়ে পৃথিবীতে এসেছেন। যীশু হচ্ছেন সকল মানুষের মুক্তিদাতা। কিন্তু পৃথিবীর মানুষ তাঁকে চিনতে পারেনি।
তিনি পাপময় পৃথিবীতে এসেও সত্যে ও আত্মায় পূর্ণ পবিত্র জীবন যাপন করেছেন। তিনি দয়া ও অনুগ্রহে পূর্ণ ছিলেন। যারাই তাঁকে বিশ্বাস করবেন তারা ঈশ্বরের সন্তান হবার অধিকার লাভ করবেন।
একটি ধন্যবাদ ও প্রশংসামূলক গানের মধ্য দিয়ে বিদায় নাও।
আরও দেখুন...